দামুড়হুদার দুটিতে নৌকা ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী : জীবননগরে নৌকার জয়

চুয়াডাঙ্গার ৫ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন : ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু করে। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলায় ৪টি ও জীবননগর উপজেলায় ১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৬ হাজার ৯০ ভোট। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হযরত আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল আলম (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৩১ ভোট। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম (আনারস) ১৮ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খলিলুর রহমান ভুট্ট পেয়েছেন ৮ হাজার ৯৩৯ ভোট। কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল উদ্দিন (মোটর সাইকেল) ৮ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সরফরাজ উদ্দিন (আনারস) পেয়েছেন ৬ হাজার ৬০৯ ভোট। এদিকে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইসাবুল ইসলাম মিল্টন ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ (হাতপাখা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬৭ ভোট। ৫টি ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে উৎসবমূখর পরিবেশ ভোটগ্রহণ চলে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ভোটের মাঠে কঠোর অবস্থানে ছিলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার, দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার পরিদর্শক (ওসি) লুৎফুল কবিরসহ সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রাতে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী হযরত আলী (নৌকা) ১২হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শরিফুল আলম মিল্টন (মোটরসাইকেল) ৮হাজার ৪৩১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল কাদির ৪ হাজার ৩৯ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে রুপালী খাতুন (বক) ২ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বেবী নাজনীন (হেলিকপ্টার) ১হাজর ৯৪১ ভোট, সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে শাহানাজ খাতুন (বক) ২হাজার ৮৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সেলিনা আক্তার (তালগাছ) ২হাজার ৬৪৪ ভোট। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে হাসিনা খাতুন (সূর্যমুখি ফুল) ৩হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাহেলা খাতুন (বক) ২হাজার ৫০৫ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে লিয়াকত আলী (মোরগ) এক হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মশিউর রহমান (তালা) এক হাজার ৭৩ ভোট পেয়েছেন। ২নং ওয়ার্ডে সামসুল ইসলাম (ফুটবল) ৯৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিল্লাল হোসেন (মোরগ) ৫২৩ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম (মোরগ) এক হাজার ৫৪৯ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল হাশেম (ফুটবল) এক হাজার ১২৬ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে জাহিদুল ইসলাম (বৈদূতিকপাখা) ৬৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুনছুর আলী (ফুটবল) ৫৮৫ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমান (ঘুড়ি) এক হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওয়াসিম আকরাম (ভ্যানগাড়ি) ১হাজার ৪৮ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে আশরাফুল আলম (মোরগ) এক হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রাশিদুল ইসলাম (তালা) ৫৭৪ ভোট পেয়েছেন। ৭নং ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান (টিউবওয়েল) ৮২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজিজুল হক (মোরগ) ৫৫৩ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে হাসান আলী (টিউবওয়েল) এক হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু বক্কর সিদ্দিক (মোরগ) ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। ৯নং ওয়ার্ডে আব্দুল আলিম (মোরগ) ৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল আলিম (তালা) ৭১১ ভোট পেয়েছেন।
জুড়ানপুর ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন (নৌকা) ১২হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রুহুল আমিন (মোটরসাইকেল) ৬হাজার ৩৩৩ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সজিব মাহমুদ (হাতপাখা) ৩হাজার ৬৬ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে নুরজাহান বেগম (সূর্যমুখিফুল) ৫ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাজমিন আক্তার (তালগাছ) এক হাজার ৭৮০ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে সেলিনা আক্তার (মাইক) ৩হাজার ৩৫১ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিমা খাতুন( তালগাছ) ৩হাজার ১১৬ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে রাশিদা খাতুন (বক) ২হাজার ৪৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হালিমা খাতুন (হেলিকপ্টার) ২হাজার ৪৪১ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে মকলেছুর রহমান (তালা) এক হাজার ১৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজাউল হক (বৈদ্যুতিক পাখা) ৭৮০ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে আল মাহমুদ আসলাম (ফুটবল) ৭৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি একরামুল হক (মোরগ) ৭১১ ভোট পেয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে খোকন আলী (মোরগ) এক হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিক (টিউবওয়েল) এক হাজার ২৫ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন (ফুটবল) এক হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জয়নাল আবেদীন (টিউবওয়েল) এক হাজার ৪১ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম (মোরগ) এক হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তারিকুল ইসলাম (তালা) ৫৩৩ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে রতন আলী (মোরগ) ৭৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জামাত আলী (টিউবওয়েল) ৬৮৩ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে আলামিন (টিউবয়েল) ৯৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মশিউর রহমান (তালা) ৮৩৬ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে মইনুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৯নং ওয়ার্ডে ইমরান হোসেন (ভ্যানগাড়ি) ৬১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাহফুজুর রহমান (মোরগ) ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।
কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম (আনারস) ১৮ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খলিলুর রহমান ভুট্ট (নৌকা) ৮ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আ. কাদির (হাতপাখা) এক হাজার ৫শ ভোট। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে আনেহারা খাতুন (তালগাছ) ২ হাজার ৭৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সুফিয়া বিবি (ক্যামেরা) ২ হাজার ৫৭৫ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে দেলোয়ারা খাতুন (তালগাছ) ৩ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফেরদৌসী খাতুন (বক) ২হাজার ১৬৭ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে সুমিয়া খাতুন (বই) ৩ হাজার ৬২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইয়াসমিন খাতুন (হেলিকপ্টার) ২ হাজার ২১৩ ভোট। সাধারণ সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন (টিউবওয়েল) ৭৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুকুল মোল্লা (তালা) ৫৬৩ ভোট পেয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম (মোরগ) ৮২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাব্বির হোসেন (তালা) ৬২৩ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান (মোরগ) ৮১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নোয়াজ্জেস (বৈদ্যুতিক পাখা) ৭৮৪ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে আ. রাজ্জাক (ফুটবল) এক হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওলিউজ্জামান (মোরগ) ৯০২ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে মাহাবুব রহমান (আপেল) এক হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল জব্বার (মোরগ) ৭৫৭ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে ছালাম (ফুটবল) এক হাজার ৩৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছানোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল) এক হাজার ২০৬ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে নুর মোহাম্মদ (টিউবওয়েল) এক হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রহিদুল ইসলাম (মোরগ) ৮৮০ ভোট পেয়েছেন। ৯নং ওয়ার্ডে সাজিবার রহমান (টিউবওয়েল) এক হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সবুর আলী (মোরগ) ৯৪৫ ভোট পেয়েছেন।
কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল উদ্দীন (মোটরসাইকেল) ৮হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন সরফরাজ উদ্দীন (আনারস) ৬ হাজার ৬০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাফি উদ্দীন (নৌকা) ৩ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে আফতাহারুনেছা (বক) ২ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলেয়া খাতুন (হেলিকপ্টার) ২হাজার ১০১ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে নাজমা জামান (হেলিকপ্টার) ৪হাজার ৩১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পলিমা খাতুন (তালগাছ) ৭১৩ ভোট পেয়েছেন। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে রেহেনা (তালগাছ) ১হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পানছুরাতন খাতুন (হেলিকপ্টার) ১ হাজার ২১৬ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে আজহারুল ইসলাম (তালা) ৪৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহাজাহান আলী (ঘুড়ি) ৩১৯ ভোট পেয়েছেন। ২নং ওয়ার্ডে আবু সিদ্দিক (মোরগ) ৮৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মতেহার আলী (টিউবওয়েল) ৭১১ ভোট পেয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে আহসান হাবিব (মোরগ) ৬৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামরুজ্জামান (বৈদ্যুতিক পাখা) ৪৫০ ভোট পেয়েছেন। ৪নং ওয়ার্ডে মোহা. ফরহাদ হোসেন (ফুটবল) ১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শরিফুল ইসলাম লিটন (টিউবওয়েল) ৬৫৭ ভোট পেয়েছেন। ৫নং ওয়ার্ডে আশরাফুল (ফুটবল) ১ হাজার ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইমরান নাজির (মোরগ) ৭৮০ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে তোফায়েল আহমেদ লিটন (তালা) ৪৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল কাশেম (টিউবওয়েল) ৪৮২ ভোট পেয়েছেন। ৭নং ওয়ার্ডে হারুন অর রশিদ (মোরগ) ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওয়াশ কুরুনী (টিউবওয়েল) ৫৫৯ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে জিল্লুর রহমান (তালা) ৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সামসুল আলম (টিউবওয়েল) ৮৯৩ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন বিপুল (মোরগ) ৫২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মফিজুর রহমান (ফুটবল) ৩৩২ ভোট।
উল্লেখ, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে আনারুল ও আলমগীর সমান ভোট পাওয়ার কারণে ইউপি নির্বাচন আইন অনুযায়ী পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে ওই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইশাবুল ইসলাম মিল্টন নৌকা প্রতীকে ১৪ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. সাইফুল্লাহ হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছে মাত্র ২ হাজার ৭৭৭ ভোট। এ ভোট ছিলো নিরুত্তাপ। কোনো উৎসাগ ছিলো না ভোটে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতিও ছিলো কম। এরপরও ভোট পোলিং হয়েছে ১৭ হাজার ৩৬৪টি।
সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১০ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে ২২ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও ৫ কেন্দ্রের একটি মোবাইল টিম এবং ১০ টি কেন্দ্রের জন্য ষ্ট্রাইকিং ফোর্স টহল দেয়। দুইজন ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল জোরদার করেন।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে শাহিনা খাতুন (ক্যামেরা) প্রতীকে ২ হাজার ৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়। ২নং ওয়ার্ডে ফুলছুরাতন খাতুন (সূর্যমুখী ফুল) প্রতীকে ২ হাজার ২৭৮ ভোট ও ৩ নং ওয়ার্ডে সুপিয়া খাতুন (হেলিকপ্টার) প্রতীকে ১ হাজার ৫৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম (মোরগ) প্রতীকে ৮৫৪ ভোটে পেয়ে, ২নং ওয়ার্ডে আরিফ হোসেন (ভ্যানগাড়ি) প্রতীকে ৭৩৫ ভোট পেয়ে, ৩নং ওয়ার্ডে আব্দুছ সালাম তেঁতুল (তালা) প্রতীকে ৭৫০ ভোট পেয়ে ৪ নং ওয়ার্ডে আব্দুল আলীম (মোরগ) প্রতিকে ৭৮৯ ভোট পেয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে আরজাম হোসেন (ফুটবল) প্রতীকে ১ হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে, ৬নং ওয়ার্ডে আরিফ হোসেন (ফুটবল) প্রতীকে ৯৫৯ ভোট পেয়ে ৭নং ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক আলী (মোরগ) প্রতীকে ৭০৩ ভোট পেয়ে, ৮নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম বিশ্বাস (তালা) প্রতীকে ৭৪৪ ভোট পেয়ে ও ৯নং ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস (মোরগ) প্রতীকে ১ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More