মেহেরপুরে নৌকার প্রার্থীদের হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়াকার

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চারটি এবং গাংনী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুজিবনগর মহাজনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোমরপুর পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর এজেন্টের মধ্যে কথা-কাটাকাটির জের ধরে ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় প্রায় আধাঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে। নির্বাচনে মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাতটিতেই আ.লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থীদের হারিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। মুজিবনগরের চার ইউনিয়নে সব কটিতেই (স্বতন্ত্র) বিদ্রোহী পাস করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান, মহাজনপুর, মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা বিকেল ৪টা পর্যন্ত থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে চারটি ইউনিয়নের ৪০টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন ভোটাররা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো যথেষ্ঠ। কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। ৪ ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে। ৮২ দশমিক ৮৫ ভাগ ভোট পোল হয়েছে। মোট উপজেলা ৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৪৫৫।
বে-সরকারি ফলাফল অনুযায়ী মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে আলহাজ আমাম হোসেন মিলু। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজাউর রহমান নান্নু নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪১ ভোট। এছাড়া ১নং ওয়ার্ডে আক্তারুজ্জামান, ২নং ওয়ার্ডে সেলিম বিশ্বাস, ৩নং ওয়ার্ডে বাবু, ৪ নং ওয়ার্ডে আরিফ, ৫ নং ওয়ার্ডে সোহরাব হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডে ফিদু, ৭নং ওয়ার্ডে ময়নউদ্দীন, ৮নং ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন, ও ৯ নং ওয়ার্ডে তুয়াজ সদস্য পদে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে পান্না খাতুন। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে সিব্রা খাতুন। এছাড়া ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে আলপোনা খাতুন সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে।
বাগোয়ান ইউনিয়নের আয়ূব হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কুতুবউদ্দীন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯২ ভোট। এছাড়া ১নং ওয়ার্ডে রফিক, ২নং ওয়ার্ডে সিবাস্তিন মল্লিক ঝড়–, ৩নং ওয়ার্ডে সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে মিঃ বাবুল মল্লিক, ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুর রকিব, ৬নং ওয়ার্ডে রমজান আলী, ৭নং ওয়ার্ডে ওমর ফারুক, ৮নং ওয়ার্ডে রিপন ও ৯ নং ওয়ার্ডে দানা সদস্য পদে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে আফরোজা বানু রোজ। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে মাবিয়া খাতুন। এছাড়া ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে মরিয়ম বিবি।
দারিয়াপুর ইউনিয়নের এস.এম মাহবুব আলম রবি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মোস্তামিক হক নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ২ হাজার ১৫৩ ভোট। ১নং ওয়ার্ডে ওমর ফারুক, ২ নং ওয়ার্ডে রাসেল মোল্লা, ৩নং ওয়ার্ডে মইদুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডে বগা, ৫নং ওয়ার্ডে উজ্জল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডে আসাদুল, ৭নং ওয়ার্ডে শাহাজান, ৮নং ওয়ার্ডে আব্দুল সাত্তার ও ৯ নং ওয়ার্ডে আব্দুল হান্নান সদস্য পদে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে কহিনুর বেগম। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে জহুরা খাতুন। এছাড়া ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সান্তনা খাতুন সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
মোনাখালী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মফিজুর রহমান মফিজ। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিকুল ইসলাম গাইন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭১২ ভোট। ১নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান, ২নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দীন, ৩নং ওয়ার্ডে আতিকুর রহমান , ৪নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম, ৫নং ওয়ার্ডে মোমিন, ৬নং ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডে ডালিম, ৮নং ওয়ার্ডে সিরাজউদ্দীন ও ৯নং ওয়ার্ডে পালু সদস্য পদে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে শিল্পী। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে রেহেনা খাতুন নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত (মহিলা) সদস্য পদে আসমানী বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিছিন্ন কয়েকটি ঘটনা বাদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গাংনী উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ২টি নৌকা এবং তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) জয়লাভ করেছেন। সাহারবাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান ও বামন্দী ইউনিয়নে ওয়বাইদুর রহমান কোমল জয়লাভ করেছেন। কাথুলী ইউনিয়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউনিয়নে সোহেল আহম্মেদ এবং তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে নাজমুল হুদা জয়লাভ করেছেন।
মটমুড়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থীকে বিরাট বড় ব্যবধানে ১২ হাজার ৭১৮ ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ। আনারস প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩২০। নৌকা প্রতীক নিয়ে আবুল হাসেম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০২ ভোট। জাপা প্রার্থী আব্দুস সালাম (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৬১৯ ভোট। যুবলীগ নেতা সোহেল আহম্মেদ গত নির্বাচনেও মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবুল হাসেমকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সাহারবাটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৬৪২ ভোটে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মশিউর রহমান। নৌকা প্রতীকে তিনি ৭ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম টুটুল (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯২ ভোট। বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী বাশিরুল আজিজ হাসান (চশমা) ১ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টি প্রার্থী বাবলু হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সানারুল ইসলাম পেয়েছেন ৮১ ভোট।
বামন্দী ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী ওবাইদুর রহমান কোমল ১ হাজার ৬৪১ ভোটে জয়লাভ করেছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৫২৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) আব্দুল আওয়াল চশমা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮৩। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক বিশ^াস (আনারস) ৩ হাজার ৩১৩ ভোট এবং বিএনপি সমর্থীত আরেক প্রার্থী স¤্রাট পেয়েছেন (মোটর সাইকেল) ২ হাজার ২৮২ ভোট।
কাথুলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মিজানুর রহমান রানা আবারও জয়লাভ করেছেন। আনারস প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৮৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবুল বাসার (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৪ হাজার হাজার ২ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলজার হোসেন রয়েছেন তৃতীয় নম্বরে। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ২। আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সিহাব আলী (দুটি পাতা) পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬৫ ভোট।
তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা বিশ^াস ১ হাজার ৩৭১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৮২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থীত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব হোসেন (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫৮ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন নৌকা প্রতীকে ৪ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি সমর্থীত আরেক প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মোটর সাইকেল প্রতীকে ১ হাজার ৯১২ ভোট পেয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী এনামুল হক (হাতপাখা) পেয়েছেন ৪০০ ভোট।
ভোটের চিত্র: সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটকাটা ও ভোটারদের বাধা দেয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে সুষ্ঠভাবে ভোট প্রদান শুরু করেন ভোটাররা। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিলো। সকাল দশটার দিকে মটমুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসেম ও তার লোকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারে। এসময় তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহম্মেদের কর্মীরা। তাৎক্ষনিকভাব ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে কৌশলে সটকে পড়ে রক্ষা পান নৌকার প্রার্থী আবুল হাসেম।
একই কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে বারটার দিকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন লাঠিসোটা ও রামদা নিয়ে কামারখালী গ্রামের লোকজনকে কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করেন। সিন্দুরকৌটা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কামারখালী ও সিন্দুরকৌটা গ্রামের মানুষের ভোটকেন্দ্র। ভোটারদের বাধা প্রদানের খবর পেয়ে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা ছুটে যায়। এসময় পালিয়ে যায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষের লোকজন। পরবর্তীতের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন কামারখালী গ্রামের মানুষ। কেন্দ্রে নৌকা সাড়ে পাঁচশ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রায় দুই হাজার ভোট পেয়েছেন।
এদিকে সকালে ভোটের শুরুতে বামন্দী-নিশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থীর একজনের মাথা ফেটে যায়। খবর পেয়ে সেখানেও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা ছুটে যান। মুর্হূতেই জটলা পরিস্কার করিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ তৈরী করে পুলিশ।
মটমুড়া ও বামন্দী ইউনিয়নের এ দু’টি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো ইউনিয়নে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশ ও আনছার সদ্যস্যদের পাশাপাশি কেন্দ্রের বাইরে কঠোর অবস্থান নেয় পুলিশ ও প্রশাসন। পুলিশের একাধিক টিমের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।
সন্ধ্যায় ভোট গণনার সময় বামন্দী ইউনিয়নের রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীদের সাথে পুলিশের তর্কবিতর্ক হয়। এসময় ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
সাধারণ ভোটারদের প্রতিক্রিয়া: বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটাররা সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, অনেক দিন পর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলেন তারা। নিজের ভোটটি পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পেরে তারা বেজায় খুশি। কয়েকটি এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিপক্ষের ভোটারদের আটকানোর চেষ্টা করে। যা ভোটের অংশ হিসেবে দেখছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে মন্তব্য তাদের।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More