নকল প্রসাধনী মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার দৌলতদিয়াড়ে ভোক্তা অধিকার ও এনএসআই’র যৌথ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নকল প্রসাধনীর গুদামে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা। এসময় নকল প্রসাধনী মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ওই ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকার নকল প্রসাধনী। গতকাল সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় গ্রামের ফায়ার সার্ভিসপাড়ায় মেসার্স টনি এন্টারপ্রাইজের গুদামে ওই অভিযান চালানো হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন থেকে গোপনে সরকার অনুমোদনহীন বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী মজুদ ও বিক্রি করে আসছিলেন দৌলতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিসপাড়ার মিনহাজুল আবেদীন টোটন। গতকাল দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহযোগিতায় তার গুদামে যৌথ অভিযান চালানো হয়। এসময় তার গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়। পরে নকল প্রসাধনী মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে ওই ধরণের কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে তাকে সতর্ক করা হয়। তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ ক্রিম পটুয়াখালি, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী থেকে নিয়ে আসেন তিনি। ক্রিমের গায়ে লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া, চায়না বা মিশর। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো বাংলাদেশেই তৈরি হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম গোপন করে। সরকার অনুমোদনহীন, বিক্রয় নিষিদ্ধ এসব পণ্য গোপনে বিক্রি করে আসছিলেন তিনি। ত্বক ফর্সাকারী নকল প্রসাধনী মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জনস্বার্থে ওই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক খলিলুর রহমান ও ফিল্ড স্টাফ নয়ন কুমার রায়। অভিযানে সহযোগিতায় ছিলো চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More